নদীর নাম:
এই ইউনিয়নে দুইটি নদী দেখা যায়। যথা:-
১. সোনামতি নদী:- যাহা অএ ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ০২ নং ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের কোল ঘেষে প্রবাহিত হয়েছে। উক্ত নদীর উপর দিয়ে ভেন্ডবাড়ী টু খালাশপীর যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে।বর্ষাকালে নদীর প্লাবনে দুকুলের আবাদী জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়। এ সময় জেলেদের প্রচুর মাছধারার ধুম পড়ে।
২. মরা নদী:-
যমুনাশ্বরী নদীর প্রশাখা বের হয়ে অএ ইউনিয়নের জলাইডাঙ্গা, দানিশনগর, ছিলিমপুর, ভাদুরাঘাট, খালিশা,দুর্গাপুর, গিবিন্দপুর,চৈত্রকেল এবং সবশেষে অনন্তরামপুরের কোল ঘেষে উক্ত মরা নদী প্রবাহিত হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারনে উক্ত নদী মরা নদীতে পরিনত হয়েছে।বর্ষাকালে পানি হলে জেলেরা প্রচুর মাছ ধরে।ইরি মৌসমে উক্ত নদীতে স্বল্প পানির কারনে চাষাবাদ হয়ে থাকে।
খাল-বিলের নাম:এই ইউনিয়নে দুইটি বিল দেখা যায়। যথা:-
১। চৈএকোল বিলঃ
ভৌগলিক অবস্থান:
০১ নং চৈএকোল ইউনিয়নের অনন্তরামপুর কলোনী বাজারে পশ্চিমপার্শ্বে প্রায় ২২৫০ একর জমির উপর এই বিস্তৃীন এলাকা জুড়ে এই বিলের অবস্থান। বিলের ইতিহাসঃ বর্ষা মৌসুমে এই বিলে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যায়। প্রায় ২ শতাধিক জেলের জিবিকা নির্বাহ হয় এই বিলের মাধ্যমে ।কথিত আছে চৈএকোল বিল মাছের খনিতে ভরপুর ছিল।ইরি ও বোরো মৌসুমে প্রচুর ধান উৎপাদন হয়ে থাকে এই বিলে। তাছাড়াও ২৫০ পরিবারের মধ্যে ৩৩ শতাংশের সাড়ে ৯ বিঘা জমি এবং হাল গরু বাড়ী ১৯৫৬ সালে রিপজনেশন পাড়া স্থাপন করে মাছ চাষ এবং হাল চাষ করে জিবিকা নির্বাহের কারনে ৯৯ বছরের জন্য রিপজেশন পরিবারদের এক্কালিন দান করে। বর্তমানে এই রিপজেশন পরিবার ভোগ দখল করে বিলের জমির এক তৃতীয়াংশ এবং স্থানীয়রা ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে এই বিল চাষাবাদ করে।
১৯৫৬ সালে তৎকালিন পাকিস্তান সরকার কতৃক জরিপের মাধ্যমে প্রাথমিক কয়লা খনির সন্ধান পান। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার কতৃক কয়লা উত্তোলোন ও কয়লা খনির নাম করন উদ্ভোধন করার কথা ছিল,কিন্তু গণ আন্দোলনের চাপে সৈ্রাচার সরকা্রের পতন ঘটে এই দিনে,ফলে ধামা চাপা পড়ে যায়।
এশিয়ার সবচেয়ে উৎকৃষ্টমানের এবং ভূ-পৃষ্টের খুব কছাকাছি কয়লার উত্তোলন। এবং আজ অবধি এই কয়লা খনির রাজনৈ্তিক আমলার টানাটানির কারনে স্থান ভেদে ফুল বাড়ীর মধ্য পাড়া কয়লা খনি ও খালাশপীর কয়লা খনির নাম করন করা হয়।
২।চত্রার বিলঃ
ভৌগলিক অবস্থানঃ ০২ নং ভেন্ডা বাড়ী ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম কোনে এবং চৈত্রকোল ইউনিয়নের মানচিত্রের উত্তর দিকে চককৃষ্টপুর,রামচন্দ্রা পুর ও দানিশ নগর মৌজার কোল ঘেঁষ অবস্থিত। বর্তমানে রাইদা এন্ড রাবেয়া(ইকো পার্ক) নামে সু-পরিচিত লাভ করে। এছাড়া বর্তমানে এই বিলের পাশ্বে নারিশ এগ্রো কোং, জোহা এগ্রো কোং গড়ে উঠেছে ছোট খাট নালা: এছাড়াও ছোট খাটো অনেক নালাও রয়েছে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস